• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলছে ডোমার ও ডিমলায়

  • ''
  • প্রকাশিত ০৮ মে ২০২৪

নীলফামারী প্রতিনিধি:

নীলফামারী ডোমার ও ডিমলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। আজ বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে।

সকালে ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন নীলফামারী-০১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার। পরে একই সেন্টারে ভোট প্রদান করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু।

নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মাঠে সরব আইনৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তদারকি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। তবে প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হলেও আছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

সরেজমিনে উপজেলার স্বপন বিদ্যা নিকেতনে গেলে সেখানকার প্রিজাইডিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, এটি একটি নারী ভোট কেন্দ্র। সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৫০ জন ভোটারের । দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভোট ১৬০জন নারী ভোটারের।

নীলফামারী-০১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তদারকি চোখে পড়ার মতো। ভোটারদের উপস্থিতি সকালে কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়বে ভোটারদের উপস্থিতি।

ওই কেন্দ্রে ভোট প্রদান করে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবারেই প্রথম নারী ভোটার মেরিনা আকতার (২৪) বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দিতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। ভোট দেওয়ার পর নিজেকে দেশের নাগরিক হিসেবে মনে হচ্ছে।’

একই কেন্দ্রে অপর ভোটার আলেয়া বেগম (৬২) বলেন বুড়ো বয়সে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভোট দিতে পেরে নিজেকে ভালো লাগছে।’ আমার ভোট আমি আমার পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পেরে আরো লাভ লাগছে।

জেলা রিটানিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি মাঠে কাজ করছে।’

পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন এসআই, তিনজন এএসআই, কনস্টেবল ছয় জন ও আনসার পাঁচজন নিযুক্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাচনের আগে-পরে পুলিশ সক্রিয় থাকবে। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টহলে রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads